শরীর ও স্বাস্থ্য

Morning Walk : পায়ে পায়ে এগোনর উপকারিতা

পায়ে পায়ে এগিয়ে যান। পিছিয়ে পড়বে হাজারো সমস্যা। বাড়তি ওজন, কোলেস্টেরল, রক্তে শর্করা, হৃদরোগের মতো সমস্যার সমাধান সম্ভব।

অনেকের আবার শারীরিক কসরতে অ্যালার্জি আছে। তাই তাঁরা ব্যায়ামের ধারকাছ মারান না। দৈনন্দিন হাঁটাচলার ফলে আপনার রক্তচাপ/হাইপারটেনসন কম হয়ে যাবে। কারণ, রোজ হাঁটলে হার্ট আরও দক্ষতার সাথে কাজ করে।

বহু মানুষ মর্নিং ওয়াক করেন না দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন। তবে বিশ্বাস করুন। আপনার এই অভ্যাস শরীরের করছে মারাত্মক ক্ষতি। এখনকার সময়ে সবচেয়ে বড় অসুখ হল মানসিক রোগ। একেঘেয়েমি, অবসাদ, একাকীত্ব গ্রাস করছে অনেকেকে।

হাঁটাহাঁটির সবচেয়ে ভাল সময় হল ভোরবেলা। প্রাতঃভ্রমণের উপকারিতার কথা সবসময়েই বলেন ডাক্তাররা। একটু তাড়াতাড়ি উঠে হাঁটার অভ্যাস করলে বিশুদ্ধ অক্সিজেনও পাওয়া যায়, শরীর-মনের ক্লান্তিও কাটে। একঘেয়েমি, অবসাদ, স্ট্রেস, এমনকি কম ঘুমের সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে।

সঙ্গে কেউ না কেউ থাকলে খুব ভালো, এটা মনে রাখা উচিৎ । তাতে মনও ভালো থাকবে।
প্রতিদিন নিজেকে মনে করান হাঁটা আপনার পক্ষে কতটা জরুরি।
কোনও ফাঁকা জায়গায় হাঁটুন। রাস্তায় না হাঁটাই ভালো।

সকালে হাঁটা বা দৌড়নোর অভ্যাস করে দেখুন, আপনার সঙ্গীর অভাব হবে না।সপ্তাহে ৪৫ মিনিট করে হাঁটলে একজন ব্যক্তি ডায়েটের পরিবর্তন না করেই বছরে ১০ কেজি ওজন ঝরাতে পারেন। হাঁটাচলা আপনার মেদ ঝরিয়ে সুঠাম শরীর গঠনে সাহায্য করবে মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বললে ও একাকীত্ব কাটবে। এই প্রক্রিয়ায় মন শান্ত থাকবে। আবার যেহেতু একটা বিশেষ দিকে মনযোগ থাকছে, তাই একঘেয়েও লাগবে না।

ধীরে ধীরে হেঁটে তেমন লাভ পাওয়া যাবে না। বরং ঘাম ঝরিয়ে জোরে জোরে হাঁটুন হাঁটতে বের হলে ছোট একটি ব্যাগে জলের বোতল ও ঘাম মোছার তোয়ালে সঙ্গে রাখুন। রোদ বের হওয়ার বের হেঁটে বাড়ি চলে আসার চেষ্টা করুন। এতে গরমে কষ্ট হবে না।

বেশি রাত করে ঘুমাবেন সকালে উঠতে ততটাই দেরি হবে। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। সবথেকে ভালো হয় রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়তে পারলে।
ঘুমের দুই ঘণ্টা আগে মোটামুটি খেয়ে নিন।এতে খাবার ঠিকমতো হজম হবে।
রাতে যতটা সম্ভব কমান। এতে রাতে ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব পাবে না।

ব্রেনের স্বাস্থ্যের জন্যও হাঁটা ভাল। স্মৃতিনাশ, অ্যালঝাইমার্সের মতো ব্যধির ঝুঁকি কমবে। অবশ্যই হাঁটার সময় আপনাকে সঠিক গতি বজায় রাখতে হবে। কারণ সঠিক ভাবে না হাঁটলে কোনও উপকারই পাওয়া যাবে না শরীরে

রাস্তায় বেরিয়েই প্রথমে দ্রুত গতিতে হাঁটা শুরু করবেন না। বড় বড় পা ফেলার বদলে ছোট ছোট পা ফেলুন। ধীরে ধীরে গতি বৃদ্ধি করুন। কিন্তু সব সময় ছোট ছোট পা ফেলবেন কিন্তু গতিটা একটু জোরে রাখবেন। পাশাপাশি গতি যেমন সচল থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখুন।

উপকারিতা

১. মর্নিং ওয়াক করলে শরীর ফিট থাকে।
২. সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে।
৩. ব্লাডপ্রেশার কমে।
৪. শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক হয়।
৫. হার্টের রোগের আশঙ্কা এড়ানো যায়।
৬. ওজন কমে দ্রুত।

তবে এখানেই শেষ নয়, হাঁটার আরও অনেক গুণ রোজের হাঁটাচলা আপনার পেশীর পক্ষেও ভাল। এতে আপনার পেশীর উন্নতিসাধন সম্ভব। এছাড়া সহ্যশক্তি বাড়ে। তাতে ক্লান্ত না হয়ে দীর্ঘক্ষণ ব্যায়ামের অভ্যাস করুন।

সকালে হাঁটতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার খাবেন না। এতে হাঁটতে কষ্ট হতে পারে। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি হাঁটতে যাওয়ার আগে বেশি পরিমাণে জল পান করেন। এতে শরীর হালকা লাগবে এবং আপনার হাঁটতেও কষ্ট হবে না।

অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

ছবি- সংগৃহীত

প্রতিবেদন – নন্দিনী সরকার

আরও পড়ুন – কিডনি ঠিক রাখতে কি খাবেন আর কি খাবেন না

আমাদের ফেসবুক পেজ – https://www.facebook.com/somoyasomoy.co